গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং এক ইউপি সদস্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে মধুমতি নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে।
এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমিসহ বসত বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে যাবে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
প্রবাহমান মধুমতি নদীর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মাঠলা এলাকায় জেগে উঠেছে চর। পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এখান থেকেই কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে প্রতিদিন। প্রায় দুই মাস ধরে বালু উত্তোলন করে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই চরের একই জায়গায় দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের মিরারচরে সিরাজ শেখ নামের এক ব্যক্তির জমি ভরাট করছে। অদূরেই জাহিদ শেখ নামের আরো এক ব্যক্তির জায়গাও ভরাট করা হয়েছে। এছাড়াও বালু ভরাট করা হয়েছে নির্মাণাধীন একটি রাস্তায়ও। আরো আরেকটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন জালালাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মিলন মুন্সি।
সিরাজ শেখ বলেন, মাঠলা গ্রামের আজাদ সমাদ্দারের ছেলে হাদিয়ার সমাদ্দার নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। আমি তার নিকট থেকে প্রতি বর্গফুট ৩.২৫ টাকা দরে ২০ হাজার ফুট বালু কিনেছি।
এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী জালালাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মিলন মুন্সির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। অপর বালু ব্যবসায়ী হাদিয়ার সমাদ্দারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
গোপালগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয় সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।